বর্তমান সময়ে পরকীয়া এক মহামারিতে রুপ ধারন করেছে ।প্রতিনিয়ত দেশে- বিদেশে ঘটছে পরকিয়ার ঘটনা। পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে স্বামী চলে যাচ্ছে অন্য নারীকে নিয়ে আবার স্ত্রী উধাও হচ্ছে প্রেমিকের হাত ধরে এমন ঘটনা ঘটছে ।এমনি এক ঘটনা ঘটেছে কিশোরগঞ্জে। কিশোরগঞ্জ জেলার নাপিতের চর গ্রামের প্রেমিকা মনিরা জানতো না তার প্রেমিক রউফের বয়স বেশি। একইসঙ্গে সে বিবাহিত, ছেলে সন্তানের জনকও সেটাও জানতো না বেচারি। কারণ কথা যে হতো মোবাইলে। কন্ঠ শুনে কি আর বোঝা যায় প্রেমিক বয়স্ক নাকি তরুণ!
আর তাই মোবাইলে কথা বলতে বলতেই রউফের প্রেমে পড়ে যায় মনিরা। সরাসরি দেখা না হয়েই কথোপকথোনে তাদের প্রেম চলে অনেকদিন। এর মধ্যে মনিরা তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু বেচারা প্রেমিক নানা কারণে তাতে রাজি হয় না।
এতেই রেগে যায় মনিরা। অতঃপর বাবার সংসার ছেড়ে বিয়ের দাবি নিয়ে চলে আসে প্রেমিকের বাড়িতে। কিন্তু এলাকার বে-রসিক জনতা এসব শুনতে বা মানতে নারাজ, আর তাই প্রেমিক যুগলকে আটক করে তারা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
চুনারুঘাট উপজেলার কাজিশাইল গ্রামের মকবুল হোসেন রউফের (৫৫) সঙ্গে মোবাইলে পরিচয় হয় কিশোরগঞ্জ জেলার নাপিতের চর গ্রামের হানিফ মিয়ার কন্যা মনিরার (২০)। কথা বলতে বলতে একটা সময় তারা প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া প্রেমিকা গত ৬ জুলাই বিয়ের আশায় চলে আসে প্রেমিকের বাড়িতে।
এসেই প্রেমিকা মুনিরার চোখ চড়কগাছ! প্রেমিককে দেখেই তার প্রশ্ন? এতোদিন এই বুড়োর সঙ্গে প্রেম করলাম! যেনো আসমান ভেঙ্গে পড়ে তার মাথায়।
এদিকে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বে-রসিক গ্রামবাসি জড়ো হন রউফের বাড়িতে। মনোযোগ সহকারে দু’জনের কথা শুনে গ্রামবাসি। এরপর রউফের স্ত্রীকে স্বামীকে আরেকটা বিয়ের জন্যও তারা রাজি করান। কিন্তু ঘটনা উল্টো দিকে মোড় নেই। কারণ, প্রেমিকা এই বিয়ে করতে রাজি নয়। উল্টো তার জীবন ধ্বংস করে দেয়ার জন্য এর বিচার দাবি করে প্রেমিকা। এতে করে বেকায়দায় পড়ে যায় গ্রামবাসি।
কানো উপায় না পেয়ে শেষমেস তারা চুনারুঘাট থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রাতেই দু’জনকে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন শনিবার উভয়কে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ।
এমন ঘটনার ব্যপারে চুনারুঘাট থানার পুলিশকর্মকর্তা বলেন,এ ঘটনার পর মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে কোন খেঁজ খবর নেয়নি।তারা দুজনেই কারাগারে রয়েছে।লম্পট রউফকে ছাড়াতে কেউ থানায় অসেনি।